মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির রাজাপুরের বাগড়ি গ্রামে শিশু সন্তানের জননী মানসুরা বেগম (২১) কে তুচ্ছ ঘটনার জেরে চুলের মুঠি ধরে ডান চোখে ঘুষি মেরে এবং মধ্য যুগীয় কায়দায় মাটিতে পদদলনসহ নির্মমভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৫ মে) দুপুরে রাজাপুর থানায় ওই গৃহবধূ বাদি হয়ে এ ঘটনায় বাগড়ি গ্রামের মৃত আদম আলীর ছেলে অভিযুক্ত শ্বশুর চিহ্নিত মাদক কারবারি আফজাল হোসেন ও তার দুই মেয়ে রুকসি বেগম ও চাদনী বেগমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মানসুরা বেগম বাগড়ি গ্রামের ট্রলি চালক আল আমিনের স্ত্রী ও এক শিশু সন্তানের জননী।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ভাড়া বাসায় বিদ্যু না থাকায় বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তার স্বামী আল আমিন মোবাইল চার্জ দিতে গেলে তার বোন চাদনী মোবাইল চার্জ দেয়নি এবং মেইন সুইজ বন্ধ করে কাটাউট খুলে নিয়ে যায় এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় এবং তাকে তার পিতা আফজালসহ বোনেরা ধাওয়া দেয়। পরে তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী মানসুরাকে ভাড়া বাসার সামনে পেয়ে তার শ্বশুর চুলের মুষ্টি ধরে ডান চোখে ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর শ্বশুর আফজাল, ননদ রুকসি ও চাদনি মিলে তাকে পদদলনসহ মারধর ও মধ্য যুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে মাটিতে ফেলে রেখে চলে যায়। আঘাতপ্রাপ্ত ডান চোখে বড় রকমের সমস্যার শঙ্কা করছেন নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ।
তাদের ভয়ে এখন চিকিৎসাও নিতে পারছেন না সে এবং তারা খুন জখমসহ নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় আতঙ্কে বিচারের আশায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি।
মানসুরার স্বামী আল আমিন জানান, কোন দোষ করলে তিনি করেছেন। মারলে তাকে মারবে। তার স্ত্রীকে কেন মারধর করা হলো, এর বিচার চান তিনি।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আফজাল হোসেন মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমি রাতে বাসায় গিয়ে মারামারির বিষয় শুনেছি। মারামারির বিষয়ে ঘরের লোকজন জানে, আমি কিছুই জানি না।
রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, ওই গৃহবধূকে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তদন্ত করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।